মোঃ আব্দুর রহিম (শরণখোলা) প্রতিনিধি :
সুন্দরবনে হরিণ শিকারের প্রবনতা দিনদিন বেড়েই চলেছে। আর এ-ই সব হরিণ শিকারিদের রোধে অবলম্বন করা হয়েছে এক অভিনব কৌশল। এ কৌশলের উদ্যোগ নিয়েছে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ। বনজীবীরা হরিণ শিকারের ফাঁদ নাইলনের দড়ি, ধরিয়ে দিতে পারলেই মিলবে আর্থিক পুরস্কার। প্রতি কেজি নাইলনের ফাঁদ উদ্ধার করে বন বিভাগের কাছে জমা দিতে পারলেই মিলবে দুই হাজার টাকা। পূর্ব বন বিভাগের দ্বায়িত্ব গ্রহণের পর হরিণ শিকার প্রতিরোধে এ ঘোষণা দেন বাগেরহাটের নবাগত বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী।এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশবাদী, সুশীলসমাজ, বনরক্ষীরা ও বনজীবীরা।খুঁড়িয়া খালি গ্রামের মৌয়াল জামাল ফরাজি জানান, মধু আহরনের মৌসুমে মধুর চাক খুজতে গিয়ে বনে গহীনে ঘুরে বেড়াতে হয়।এমন সময়ে মাঝেমধ্যে হরিণ শিকারের ফাঁদ পাতা দেখা যায়। তখন বনরক্ষীদের জানান বিষয়টি। এখন পুরস্কার ঘোষণা তাদের জন্য আনন্দের এবং সেই সাথে আরো সজাগ দৃষ্টি রাখতে পারবেন বলে তারা জানিয়েছে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বর্তমানে সুন্দরবনে হরিণ শিকারের অপতৎপরতা বেড়ে গেছে। যেহেতু সুন্দরবনে মৌয়াল ও জেলেদের বিচরণ বেশি ; তাই ফাঁদ ও শিকারিদের দেখা তাদের পক্ষেই সহজ। তাই বন পেশাজীবীদের মাধ্যমে ই হরিণ শিকার প্রতিহত করা সহজহবে।এ ধারণা মতেই, প্রথম অবস্থায় প্রতি কেজি নাইলনের ফাঁদ উদ্ধারে দুই হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।