এবি নিউজ ডেস্ক:
স্বৈরাচার হাসিনা সরকার পতনের পর বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যেই পার্শ্ববর্তী দেশের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বাঁধের গেট খুলে দিয়ে বাংলাদেশর ওপর বন্যা চাপিয়ে দিয়েছে। যা মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণ করতে সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোটের জরুরি সভায় বক্তারা এসব কথা বলেছেন।
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবু জাফর কাসেমীর সভাপতিত্বে সোমবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীস্থ হাফেজ্জি হুজুর (র.) মাদরাসা ও খানকা শরীফে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মাওলানা আবু জাফর কাসেমী তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কোনো দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী মহল যেন কোনো অঘটন ঘটাতে না পারে, দেশের আপামর ছাত্র-জনতাকে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যুগে যুগে বীর বাঙালি এবং ওলামা মাশায়েখ রক্ত দিয়ে দেশকে রক্ষা করেছেন। আমাদের সবাইকে দেশ ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।
সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট খায়রুল আহসান তার বক্তব্যে বলেন, এদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ ও স্বাধীনচেতা। ইতিহাস বলে স্বাধীনচেতা মানুষকে কখনও দমিয়ে রাখা যায় না। তাই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র বাংলাদেশকে দমন করতে পারবে না ইনশাল্লাহ।
তিনি সব রাজনৈতিক দল বিশেষ করে ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোকে দেশের ক্রান্তিকালে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
সেই সঙ্গে বন্যায় প্লাবিত এলাকার মানুষকে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করার জন্য দেশের সর্বস্তরের মানুষ এবং সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নেজামে ইসলাম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা হারিছুল হক, ইসলামিক লিবারেল পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা আতাউর রহমান আতিকী, ইসলামিক ডেমোক্রেটিক ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা আবুল কাশেম কাসেমী ও মহাসচিব আযম খান প্রমুখ।