এমদাদুল হক, স্টাফ রিপোর্টার (ভোলা)।
ভোলা জেলার, চরফ্যাশন উপজেলার, দক্ষিণ আইচা থানায় ২৬ ই এপ্রিল, শনিবার দুপুর তিনটার দিকে বিদ্যুৎ চলে যায়, দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা এলেও বিদ্যুৎ আসার কোন আলামত ছিল না তখনও, সকালের ভাবনা এই বিদ্যুৎ এলো বলে কিন্তু না, এখনো বিদ্যুতের দেখা মিলল না। দেখতে দেখতে সময় গড়াতে লাগলো, সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা তবুও বিদ্যুতের দেখা নেই। অবশেষে বিদ্যুতের দেখা মিলল, সময় তখন বেশ পার হয়ে গেল, ঘড়ির কাঁটায় সময় ৯ টা বাজে, আগামীকাল রবিবার ২৭ ই এপ্রিল, আছে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা, পরীক্ষার্থীরা খুবই হতাশ, বিদ্যুতের লোড সেটিং এর কারণে পরীক্ষার আগের দিন টিও ভালো করে পড়তে পারেনি তারা, এদিকে বিদ্যুৎ ভাইয়া আবার অভিমান করে পারি জমালেন ৯ টা বেজে ৩২ মিনিটে, ফিরে এলেন ১০ টায় আবার ১০ টা বেজে ৯ মিনিটে চলে যায়,ফিরে আসে ১০ টা ১৫ তে এভাবে আর কত?, এতে ক্ষুব্ধ হন পরীক্ষার্থীসহ সাধারণ জনগণ, স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, শুধু আজই নয় পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েক বার এমন ঘটনা ঘটেছে, আবহাওয়া পরিস্থিতি সব কিছু ঠিক ঠাক থাকার পরেও এমন হওয়ার কারণ জানতে চাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন আলোর বাংলাদেশের সংবাদকর্মী, এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ প্রায় সময়ই এমন ঘটনা ঘটে এসব অঞ্চলে, আর আকাশে যদি মেঘ দেখা যায়, তাহলে ঝড় বৃষ্টি ছাড়াও দিনের পর দিন বন্ধ থাকে বিদ্যুৎ সরবরাহ, দ্বীপ জেলা ভোলাবাসী যেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছে জিম্মি, এর আসলে শেষ কোথায়? চলমান পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যদি কেউ বিদ্যুতের কারণে ঠিক মত পড়া-শোনা করতে না পারে, আর পরীক্ষার ফলাফল খারাপ আসে তাহলে এই দায় ভার কার? এর দায়ভার কি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নিবে? নাকি তাদের অসচেতনতায় কোন পরীক্ষার্থীর জীবন থেকে হারিয়ে যাবে আরো একটি বছর? এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান চায় এলাকাবাসী।