শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন

আওয়ামী লীগ মাফিয়া সরকারের একজন দক্ষ দালাল ও কর্মী হিসেবে বিশাল অভয়ারণ্য সৃষ্টি করে মেলান্দহের চরবানিপাকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুল্লাহ।

জামালপুর জেলা প্রতিনিধি :লিটন রাজ।
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

জামালপুর জেলা প্রতিনিধি :লিটন রাজ।

একজন সরকারি চাকুরী জীবী হয়েও সরাসরি নৌকা মার্কার নির্বাচনী প্রচারণা চালায় সদলবলে। জামালপুরের সকল ফ্যাসিবাদ নেতাদের দালালি ও দলীয় কাজে ব্যস্ত থাকতেন হাবিবুল্লাহ।ইসলামপুরের বাসিন্দা হয়েও মেলান্দহে শিক্ষকতা করছেন তিনি। ইচ্ছে মত বিদ্যালয়ে আগমন- প্রস্থান করেন।

তার ফেইসবুক প্রোফাইল ছবি থেকেও এসকল অপকর্মের তথ্য প্রমান পাওয়া যায়। মীর্জা আজম, দুলাল এমপি মোজাফফর এমপি সহ বড় বড় এম পি মন্ত্রীদের সাথে ছবি তুলে ফেইসবুক প্রোফাইল তৈরি করে মানুষকে হুমকি দামকি দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বিগত সৈরাচার সরকারের সময়। তিনি এমপি আবুল কালাম আজাদ ফরিদুল হক খান দুলাল, পৌর মেয়র ছানুর নির্বাচনী প্রচারনায় সদলবলে অংশগ্রহন করেছিলেন বলে সর্বমহলের দাবি। মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি জিন্নাহ কে ফুলের শুভেচ্ছা সহ আওয়ামী লীগ এর বিভিন্ন দলীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। সর্বশেষ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল হাবিবুল্লাহর বিরুদ্ধে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে তেলিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পেয়েও নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণের দায়ে বহিস্কৃত হন হাবিবুল্লাহ।প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি থাকায় পদায়ন বাণিজ্যসহ জেলা, উপজেলা অফিসে দালালী করে জামালপুর জেলার প্রাথমিক শিক্ষায় এক নৈরাজ্যের সৃষ্টি করেন হাবিবুল্লাহ। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন তিনি সরকারি চাকরি করে কিভাবে এসব করেন। তৎকালীন মেলান্দহ উপজেলা চেয়ারম্যানের জন্মদিনে তার অফিসে চেয়ারম্যানের মুখে মিষ্টি তুলে খাওয়ায় মাফিয়া দালাল হাবিবুল্লাহ। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন তিনি সরকারি চাকরি করে কিভাবে এসব করেন? তার ফেইসবুক আইডি থেকে দেখা যায় শিক্ষা কর্মকর্তা সাদি আল সিরাজি ও আনুয়ারুল ইসলামের ঘাড়ে বসে থাকতে হাবিবুল্লাহকে। উপজেলা রিসোর্স সেন্টার, মেলান্দহের যে কোন প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক বা প্রশিক্ষণার্থী হোক বা না হোক বাদ্যযন্ত্র নিয়ে হাজির হন হাবিবুল্লাহ। ট্রেইনিং সেন্টারটিকে বানিয়েছিলেন যাত্রা মঞ্চ।এহেন অবস্থায় বিগত সরকারের আমলে তাকে যেতে হয়নি বিদ্যালয়ে,করতে হয়নি সরকারি বরাদ্ধপ্রাপ্ত টাকার কোন কাজ।আত্মসাত করেছেন সবই।বর্তমানে পটপরিবর্তনে সবাই পলাতক হলেও বহাল তবিয়তেই পূর্বের দাপটেই আছে হাবিবুল্লাহ। পরিবর্তন করেছে তার লেবাজ,কখনও বিএনপি,কখনও জামাত দাবি করে নিজেকে প্রচারের চেস্টা অব্যাহত রেখেছেন

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ