দিরাই প্রতিনিধি গোলাম জিলানী :
সুনামগঞ্জ -২ (দিরাই -শাল্লা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাছির উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন ওরা আমার সন্তান, আমি ওদের ভালোবাসী তারাও আমাকে ভালোবাসে। আমি তাদের সাথে থাকতে চাই। রোববার বেলা সাড়ে তিন টার দিকে নিজ বাসভবনে সৎ ভাই, নিজ স্ত্রীও মেয়েদের মধ্যে সংঘটিত পারিবারিক কলহের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। একাধিক সুত্রে জানা যায়,অসুস্থ নাছির চৌধুরীর খোঁজখবর নিতে শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী ও দুই মেয়ে দিরাই আসেন। রাত ১২টার দিকে দুই মেয়ে ওস্ত্রী উপজেলা পরিষদের বাসভবনে গেলে বাসায় থাকা নাছির উদ্দীন চৌধুরীর সৎ ভাই মাসুক চৌধুরী ও মিলন চৌধুরী সাথে স্ত্রী ও মেয়েরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে নাছির চৌধুরীর স্ত্রী ও দুই মেয়ে কে বাসা থেকে বের করে দেন মাসুক চৌধুরী। বিষয় টি ভাইরাল হওয়ায় সে বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন নাছির চৌধুরী। এ ব্যাপারে নাছির চৌধুরীর স্ত্রী পারভিন আক্তার বলেন, শুক্রবার রাতে আমার অসুস্থ স্বামী নাছির চৌধুরীর খোঁজখবর নিতে ঢাকার বাসা থেকে আমি ও আমার দুই মেয়ে উনার দিরাইর বাসায় আসি। আমাদের দেখেই আমার স্বামীর সৎ ভাই মাসুক চৌধুরী তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে আমাকে ওমেয়েদের শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন, এক পর্যায়ে বাসা থেকে বের না হলে মেরে ফেলার হুমকি দেন। আমরা প্রাণ ভয়ে গভীর রাতে একটি মাদ্রাসায় নেই। আমার স্বামী ও মেয়েদের বাবার অধিকার ফিরে পেতে আইনের আশ্রয় নেবো। বড় মেয়ে নাজিয়া চৌধুরী বলেন, আমার চাচারা আমাদের বাবার আদর থেকে বঞ্চিত রেখেছেন, আমার এমপি বাবার নাম বিক্রি করে তারা নিজের আখের ঘুছালে আমার অসুস্থ বাবা কে উন্নত চিকিৎসা না তিলে তিলে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছেন।গতরাতে আমাদের যে অত্যাচার করেছেন তা বলার ভাষা নেই। বাবা কে আমরা নিতে এসেছি, আমরা বাবাকে উন্নত চিকিৎসা দিতে চাই। মাসুক চৌধুরী বলেন, আমার ভাই উনাকে তালাক দিয়েছেন, উনিতো কোনো মতেই আমাদের বাসায় আসতে পারেন না। আর মেয়ে রা প্রায়ই আসে যায়, তবে মাসুক চৌধুরী তাদের বাসা থেকে বের করা ও শারীরিক লাঞ্ছনার বিষয় টি অস্বীকার করেন।