স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর সাবেক ছাত্রদল সহ সভাপতি সাহীন আহাম্মেদ সৌরভ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা মডেল থানার এজাহারে নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাসচালক আবু মিজি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এই
ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়েদুল কাদের, শামীম ওসমান ও আজমেরী ওসমানসহ ৮০ জনের নামে মামলা হয়েছে।
২১ আগস্ট নিহতের মা বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তবে সেই মামলায় আসামি হয়েছেন সাবেক ছাত্র নেতা শাহীন আহমেদ সৌরভ। যা নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা কঠোর সমালোচনা করেছেন।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বিগত দিনেও রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকায় আওয়ামীলীগ সরকার আমলে তার নামে ৫টির বেশি মামলা হয়েছে এবং জেল,জুলুম নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন।
শাহীন আহমেদ সৌরভ জানান, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন ও সদস্য সচিব টিপু ষড়যন্ত্র করে এই মামলায় তাকে আসামি করেছে। রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন দাবি করে মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব শাহেদ আহম্মেদ বলেন, আমি যখন ছাত্রদলের সভাপতি ছিলাম তখন সৌরভ সহ-সভাপতি ছিলো। ও সক্রিয় ছিলো এবং ওদের পরিবারের অনেকে বিএনপি করতো। সৌরভের নামে বেশ কয়েকটি মামলাও আছে। কিন্তু যখন শুনলাম আন্দোলন চলাকালে সাইনবোর্ডে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহতের ঘটনায় ওর নামে মামলা হয়েছে তখন অবশ্যই একটু বিব্রত হয়েছি। আমার আসলে জানা নেই কেন কিভাবে ওর নাম এখানে আসলো।
এদিকে সাবেক ওই ছাত্র নেতা বলেন, আমার অপরাধ একটাই যে আমি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম সাহেব এবং তার ছেলে আবুল কাউছার আশা ভাইয়ের রাজনীতি করি। শুধু মাত্র এই কারণে আমার নামে মিথ্যা মামলা হলো। থানায় যোগাযোগ করার পর বলছে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন ও সদস্য সচিব টিপু এই মামলায় আমার নাম দিয়েছে। আমি তার নিজ দলের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় তখনও মামলা খেয়েছি। শুধু আমি না আমার বাবা আর ভাইও আমার কারণে মামলা খেয়েছে। এখন আওয়ামীলীগ সরকার চলে যাওয়ার পরও যদি আমাদের মামলার পরতে হয়, তাহলে তো মরে যাওয়াই ভালো।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আজম মিয়া বলেন, আসলে এই বিষয়ে আমি কি বলবো তা বলার ভাষা নেই। আমাদের কাছে বাদী পক্ষ থেকে যা বলা হয়েছে আমরা সেটাতে গুরুত্ব দিয়েছি এবং মামলা নিয়েছি। এখানে আমাদের কোন হাত নেই। তবে তদন্তে এই বিষয়টা অবশ্যই ক্লিয়ার হবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।