মোঃ লিটন রাজ, জামালপুর প্রতিনিধি।
জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ৭ নং চরবানি পাকুরিয়া ইউনিয়নের মহিরামকুল গ্রামের হাসপাতাল সংলগ্ন পাকা রাস্তা হতে পশ্চিম মহিরামকুল দিকে ৮০০ মিটার কাঁচা মাটির রাস্তা যা তেঘরিয়াগামী পাকা রাস্তার সাথে সংযোগ হয়েছে।
এই রাস্তাটির এমনই বেহাল দশা, বর্ষাকালে এই রাস্তায় যাতায়াত করা কষ্টকর এবং বৃষ্টির পানিতে রাস্তা পিচ্ছিল হলে যানবাহন চলাচলে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই মাদ্রাসা এবং মসজিদের সামনে দিয়ে যাওয়া মহিরামকুল হাসপাতাল পর্যন্ত রাস্তাটি পাকা করা প্রয়োজন। জামালপুর জেলার সচেতন মহল আছেন যারা সহযোগিতা করতে পারবেন, প্রিয় গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, অতি দরিদ্র এই এলাকার পাশে কেউ দাঁড়িয়ে রাস্তাটি পাকা করার ব্যবস্থা করলে এলাকাবাসী আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে।
যুদ্ধের ৫৩ বছর পার হলেও উক্ত রাস্তাটি শুধুমাত্র ১ বার (২০ বছর আগে) মাটি কাটা হয়েছিল।
রাস্তাটির এই বেহাল দশার কারণে নিম্ন বর্ণিত সমস্যা গুলো পরিলক্ষিত হচ্ছেঃ
১। রাস্তাটির শেষ প্রান্তে একটি মাদ্রাসা রয়েছে, মাদ্রাসার ছাত্ররা বিভিন্ন বাড়িতে লজিং থাকে অর্থাৎ তিন বেলা খাবার খাইতে হয় এই কাদামাটি পার হয়ে, যার ফলে বিভিন্ন সময় কাপড় নষ্ট হয়।
২। রাস্তার শেষ প্রান্তে একটি মসজিদ আছে,, মসজিদের মুসল্লিরা খুব খারাপ অবস্থায় কাদামাটি পার হয়ে নামাজে অংশগ্রহণ করেন, যার ফলে কাপড় নষ্ট হয় মাঝেমধ্যে নামাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন না।
৩। ওইপাড়ায় ন্যূনতম ১০০ জন স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী আছে, ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যাতায়াত খুবই কষ্টকর হয়।
৪। এই এলাকার প্রায় জনগণ অতি দরিদ্র যারা বেশিরভাগ সাইকেল দিয়ে যাতায়াত করেন,, এমন অবস্থায় সাইকেল তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে যাওয়া যায় না।।
৫। ওই এলাকায় ন্যূনতম ২০টি যানবাহন(অটোরিকশা,, অটো, ফাইটার,, নসিমন, মাহিন্দ্রা) রয়েছে, যেগুলো প্রায়ই দুর্ঘটনায় পতিত হয়। যা একজন দিনমজুর হিসেবে বিশাল ক্ষতি সম্মুখীন হয়।
৬। এই এলাকায় প্রায় ২০০ পরিবার বসবাস করে, এখানে কোন যানবাহন চলাচল না করায়, পায়ে হেঁটে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করতে হয়, যা বর্তমান প্রজন্মে কাম্য নয়।
উপরোক্ত বর্ণনার আলোকে রাস্তাটি পাকা করার লক্ষ্যে মানবিক ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করছি।