বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন

রামগঞ্জে গরিবের ডাঃ আব্দুল্লাহ আল আমিন

শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া, রামগঞ্জ
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া, রামগঞ্জ
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল আমিন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গরিব দুঃখী অসহায় মানুষের ডাক্তার হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তার চিকিৎসা সেবার সুনাম রামগঞ্জ উপজেলার গণ্ডি পেরিয়ে পার্শ্ববর্তী রায়পুর, হাজিগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ,ও চাটখিল উপজেলায়ও ছড়িয়ে পড়েছে।

তাই প্রতিদিন তার চিকিৎসা সেবা নিতে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১৫০ থেকে ২০০ শতাধিক শিশু রোগীদের অভিভাবকগণ ছুটে আসেন রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল আমিন গত দশ বছরে প্রায় ৫ লক্ষাধিক শিশু রোগীর সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছেন। সরজমিনে উপস্থিত কালে বিশাল লম্বা লাইন দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করলে শিশু রোগীদের অভিভাবকগন এ প্রতিবেদককে জানান, প্রতিদিনই গরিবের ডাক্তার খ্যাত আব্দুল্লাহ আল আমিনের চেম্বারের সামনে বিশাল লম্বা লাইন থাকে বলে জানান সেবা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা। তারা আরো বলেন উনার চিকিৎসা সেবায় আমরা বেশ খুশি। কারণ উনি সরকারি হাসপাতালে বেশ যত্নের সাথেই বাচ্চাদের দেখে থাকেন।

খুব জরুরি রোগীদের হাসপাতাল ভর্তি রেখে নিজ দায়িত্বে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলায় অবিভাবকের মুখে হাসি ফুটে ওঠে। তাই প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২০ থেকে ৩০ জন শিশুরোগী হাসপাতাল ভর্তি থাকতেও দেখা যায়। রোগীদের সাথে কথা বল্লে এক শিশু রোগীর অভিভাবক জানান, আমি রোগী নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম কুমিল্লা,নোয়াখালী, সহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি, কিন্তু ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল আমিনের চিকিৎসা আমার কাছে ভালো লাগে তাই যখনই আমার সন্তানরা অসুস্থ হয় আমি উনার কাছেই নিয়ে আসি। প্রতিবেদন কালে হাসপাতালের এক স্টাফ জানান, শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল আমিন স্যার যদি দুই একদিনের ছুটিতে যান তখন বাচ্চাদের মায়েদের কান্না করতেও দেখতে পাই। হাসপাতাল সূত্র আরো জানায়, বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক ঝাঁক সুদক্ষ চিকিৎসক মন্ডলির সার্বিক প্রচেষ্টায় রোগীদের সঠিক চিকিৎসা প্রদানে বেশ তৎপর রয়েছেন তারা। রোগীদের রোগ নির্ণয়ে হাসপাতালের ভিতরেই প্যাথলজি টেস্ট, এক্সরে সহ বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল , চেক আপ। প্রোসতি মায়েদের ২৪ ঘন্টা নরমাল ডেলিভারি সার্ভিস, ইমারজেন্সি রোগীদের বিভিন্ন অস্ত্রোপচার ও সিজারিয়ান অপারেশনের সার্ভিস চালু থাকায় গরিব অসহায় রোগীদের সেবা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বদ্ধ পরিকর।

এরই ধারাবাহিকতায় লক্ষ্মীপুর জেলায় শ্রেষ্ঠ হাসপাতাল হিসেবে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কয়েকবারই মনোনীত হন। এছাড়াও চট্টগ্রাম বিভাগেও এ হাসপাতালটির প্রথম হওয়ার সুনাম রয়েছে। শিশু রোগী সেবার ব্যাপারে ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে রোগীদের সেবা দেওয়া আমার দায়িত্ব। আমি সঠিক চিকিৎসা সেবা দেই বলেই এখানে লম্বা লাইন থাকে। রোগী অনেক বেশি হওয়ায় সময় বেশি দিতে না পারলেও আমি সঠিক চিকিৎসাই দেওয়ার চেষ্টা করি। সিরিয়াল নিয়ে মাঝে মাঝে রোগীদের সাথে ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি হয়। কিছু মানুষ আসে যারা সিরিয়াল মেনটেন করে রোগী দেখাতে চান না। পাবলিক মেনটেন করা অনেক বেশি কঠিন একটি কাজ চিকিৎসা দেয়া এত কঠিন নয়। সিরিয়াল মেনটেন করতে আসতে বললেই অনেকেই কষ্ট পান রাগ করেন। আবার বলেন ডাক্তারের ব্যবহার ভালো নয়। আপনিই বলুন সিরিয়াল মেনটেন করে আসতে বলা এটা কি অপরাধ।

আমি কাউকে এখানে ডেকে আনি না ভালো চিকিৎসা দেয় বিদায় মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করে চিকিৎসা নেয়। আমি শুধু সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করি। হাসপাতালের আর এম ও ডাঃ সাইফুল আমিন, জানান রোগীদের দ্রুত সেবা নিয়ে বিদায় নিতে রোগীর টিকিট কাটার সময় আমরা টিকিটের উপরে সময় লিখে রাখি যাতে কত কম সময়ে রোগীটি সঠিক চিকিৎসা নিয়ে নিজ গন্তবে ফিরে যেতে পারেন আমরা পরিকল্পনা মত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আনোয়ার হোসেন জানান, পূর্বের চেয়েও হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান আরো কিভাবে বাড়ানো যায় আমরা সর্বদা সেই চেষ্টাই করছি। পর্যাপ্ত লোকবল থাকলে আমরা এই সেবা আরো ত্বরান্বিত করতে পারব ।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ