মো:রমিজ আলী,
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি(চট্টগ্রাম)।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকতে এক স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষনের অভিযোগ উঠলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যামে মুহুত্বে বিষয়টি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।
শনিবার দুপুর ১ টার সময় গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকতে বন্ধুকে নিয়ে বেড়াতে যাওয়া ১৪ বছরের স্কুল পড়ুয়া এক তরুণীকে দলবদ্ধ হয়ে গণধর্ষনের স্বীকার বলে খবর পাওয়া যায়। তবে উদ্ধারকৃত তরুণী ও সীতাকুণ্ড মডেল থানার বরাতে জানাযায় ঘটনার আসল সত্যতা । ঘটেনি এই ধরনের কোন ঘটনা।
নবম শ্রেণী পড়ুয়া ভিকটিম কিশোরী জানায়, শনিবার দুপুরের দিকে আমার একজন বন্ধুকে নিয়ে গুলিয়াখালি বিচ এলাকায় ঘুরতে যাই। এ সময় একজন যুবক এসে আমাদের গাড়ি আটকে টাকা দাবি করে। অন্যথায় আমাদের পুলিশে দেবে বলে হুমকি দেয়। পরে টাকা দিতে অস্বীকার করলে ওই যুবক আমাকে ধরে নিয়ে যায়। তার সাথে আরও তিন ব্যক্তি ছিল। তারা আমাকে জঙ্গলের গভীরে নিয়ে যেতে চাইলে আমি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করি। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এসে আমাকে উদ্ধার করে।
ঐই কিশোরি সীতাকুণ্ড পৌরসভার বাসিন্দা।বাবা রিক্সা চালক ও মা মর্জিনা আক্তার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকুরি করেন। এসময় তিনি বলেন, মেয়ের শরীরে এই ধরনের কোন আলামত দেখিনি। সে নিজেও আমাকে এটা নিশ্চিত করেছে। তবে যারা এর সাথে জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি করছি এবং যারা এগুজবের সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনাহোক।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঐই কিশোরীর বন্ধুকে থানায় হাজির করা হয়। সেও একি শীকারোক্তি দেওয়া কথা যানান সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মো: মজিবুর রহমান। এসময় তিনি আরো বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে । ঐই কিশোরীকে তার মায়ের সামনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে গণধর্ষণের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে যানান । তবে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কাজ চলমান। অপরাধীদের ধরতে পুলিশের একটি টিম জোরালো ভাবে কাজ করছে।