চট্টগ্রাম প্রতিনিধি নাইমুল হাকিম।
আনোয়ারায় এক ভূয়া এনজিও লোন দেওয়ার কথা বলে শতাধিক গ্রাহক থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদের পূর্ব পাশে আবাসিক এলাকার খোকন স্যারের আবাসিক ভবনে এ ঘটনা ঘটে। কয়েকদিন আগে থেকে আনোয়ারা উপজলোর বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুরুষ ও মহিলাদের লোন দেওয়ার কথা বলে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত জামানত নিয়ে আকজি গ্রুপের সমাজ সেবা নামের একটি ভূয়া এনজিও।
মাত্র দুই দিনের মধ্যে দুই থেকে তিন লাখ টাকা লোন দেওয়ার টোপ দিয়ে প্রতি লাখে ১০ হাজর টাকা জামানত নেয় গ্রাহকদের কাছ থেকে। ০১৩৩৩৬৫৯৬০৮ ও ০১৮৬৫৭৮১১২৫ এই দুই নগদ নাম্বারেও গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নেয় তারা। সবাইকে অফিসের ঠিকানা দেওয়া হয় আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের পূর্ব পাশে আবাসিক এলাকার খোকন স্যারের ভবন। একদিন আগে ঐ ভবনের দোতলার একটি কক্ষ কৌশলে ভাড়া নিয়ে সেখানে ডেকোরেশন থেকে চেয়ার টেবিল এনে অফিস সাজিয়েও রাখে প্রতারকরা। গত মঙ্গলবার আনোয়ারা আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠান করে সবাইকে লোন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এইদিন বিকাল ৩টায় তাদের দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে অফিস বন্ধ দেখতে পায় গ্রাহকরা। পরে তাদের মোবাইল ফোনে কল দিলে বন্ধ পান গ্রাহকরা।
চাতরী এলাকার এক নারী স্বামীকে না জানায়ি তত্রেশি হাজার টাকা দিয়েছে তাদের। বেশিরভাগ নারী গ্রাহককে তারা প্রতারণার এই ফাঁদে ফেলেছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। ফলে ভয়ে তারা কোনো অভিযোগও করতে পারছেনা।
ইছামতি এলাকার অশোক দত্ত নামের এক ভুক্তভোগী জানান, আমি এবং আমার ভাবী মিলে চল্লিশ হাজার টাকা দিয়েছি। দুই দিনের মধ্যে চার লাখ টাকা দেওয়ার কথা। অফিসে গিয়ে দেখি তালা মারা। মোবাইলও বন্ধ।
সিংহরা গ্রামের এয়ার মোহাম্মদ নামের অটো চালক জানান, আমাদের তিনজন থেকে ২৮ হাজার টাকা নিয়েছে তিন লক্ষ টাকা দিবে বলে। তাদের দেওয়া সময়ে অফিসে গিয়ে দেখি কেউ নাই। অফিসে কয়েকটি কম্পিউটার ছিল সেগুলোও নিয়ে গেছে।
ভবনের মালিক কোকন স্যারের বোন বলেন, আমি স্কুলে ছিলাম। ওরা পরদিন আমাকে টাকা দিবে বলে তালা ভেঙ্গে আমার ভবনের দোতলায় একটি রুমে গিয়ে উঠে। পরদিন বিকালে আমাকে একজন ফোন করে এই ঘটনার কথা বল। তারা আমাকেও ধোঁকা দিয়েছে।
এ বিষয়ে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনির হোসেন বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। এটি এনজিও ব্যুরোতে অভিযোগ দিলে মনে হয় ভাল হবে।
উপজলো নির্বাহী অফসিার (ইউএনও) তাহমিনা আকতার বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি।অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।