মো:সালাম রাব্বানী
দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন চাষিরা। উৎপাদন ভালো হলেও বাজারে প্রত্যাশিত মূল্য না থাকায় তারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে এক কেজি আলুর দাম মাত্র এক কাপ চায়ের সমান, যা কৃষকদের জন্য চরম বেদনাদায়ক।
কিছুদিন আগেও বাজারে প্রতি কেজি আলুর মূল্য ২০ থেকে ৩০ টাকা থাকলেও এখন তা নেমে এসেছে মাত্র ১০ থেকে ১২ টাকায়। অথচ চাষিরা আগের বছরের তুলনায় বীজ, সার এবং অন্যান্য কৃষি উপকরণ কিনতে বেশি টাকা ব্যয় করেছেন। ফলে উৎপাদন খরচও উঠে আসছে না, যা তাদের আর্থিক সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিরলের কৃষক মোতালেব বলেন, “এই বছর আমরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছি। প্রতি কেজি আলু ১০ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে, যা উৎপাদন খরচের তুলনায় অনেক কম। সংসারের ন্যূনতম খরচ চালানোও কঠিন হয়ে পড়েছে। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার খরচ কীভাবে চালাবো, বুঝতে পারছি না।”
একই অবস্থা বেণীপুর গ্রামের কৃষক গোলাম রসুলের। তিনি বলেন, “এভাবে আলুর দাম পড়তে থাকলে সার ও কীটনাশকের খরচও উঠবে না। বিঘাপ্রতি যে ব্যয় হয়েছে, তার তিনগুণ লোকসানে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে।”
দিনাজপুর ও বিরলের বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে কেজি প্রতি আলু বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকায়, আর পাইকারি বাজারে তা মাত্র ১০ টাকায় নেমে এসেছে।
কৃষকদের আশঙ্কা, এমন নিম্নমূল্য অব্যাহত থাকলে তারা আগামী মৌসুমে আলু চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। এই অবস্থায় কৃষকদের টিকিয়ে রাখতে সরকারকে দ্রুত সহায়তা প্রদান এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের ব্যবস্থা নিতে হবে।