মো:রমিজ আলী,সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি(চট্টগ্রাম)।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড এলাকায় উপকূলের সাগর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ার কারণে গত সোমবার(১৭ফেব্রুয়ারি) সকালে পিটিয়ে সাগরের পানিতে ফেলে দেওয়া রাম জলদাসের (৩২) লাশের খোঁজ মিলেছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত এলাকায় জোয়ারের পানিতে ৫দিন পর ভেসে আসে রামজলদাসের লাশটি।
পরে গাউসিয়া কমিটির সহযোগিতায় এবং কুমিরা নৌ পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার পর তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
হত্যার শিকার রাম জলদাসের বাড়ি উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মধ্যম মাহমুদাবাদ গ্রামের জেলেপাড়ায়।
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক ওয়ালীউদ্দিন আকবর বলেন, জোয়ারের পানিতে গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতে রাম জলদাসের লাশ ভেসে আসে। ভাটার সময় পানি নেমে যাওয়ায় কাদামাটিতে লাশটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় জেলেরা। পরে তারা নিহত ব্যক্তির স্বজনদের খবর দেন। স্বজনদের কাছ থেকে খবর পেয়ে মানবিক সংগঠন গাউসিয়া কমিটির সদস্যদের সহযোগিতায় কুমিরা নৌ পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রাম জলদাসের লাশ উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সকাল দশটার দিকে রামদাস ও লিটন দাস দুই ভাই মিলে নৌকায় করে সাগরে মাছ ধরতে যায়। কিন্তু সমুদ্র থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার কারণে তাদের জাল ছিড়ে যায়। এ বিষয়ে তারা দুই ভাই বালু উত্তোলনকারি ড্রেজারে দায়িত্বরত ব্যক্তিদের কাছে প্রতিবাদ করতে গেলে ড্রেজার থেকে মাথায় আঘাত করে ধাক্কা দিয়ে সাগর থেকে ফেলে দেওয়া হয় রাম দাশকে। আরেক ভাই লিটন দাসকে অপহরণ করে বাল্কহেডে করে নিয়ে যায় বালু উত্তোলনকারীরা।