নড়াইল প্রতিনিধি :
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের ঘাঘা গ্ৰামে ও দিঘলিয়া ইউনিয়নের নোয়াগ্ৰামে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবার বিভিন্ন ধরনের প্রমাণ সাপেক্ষে ডাকতির সঙ্গে জড়িত একজন মহিলা ডাকাত কে সনাক্ত করে পুলিশকে খবর দেয়। ডাকাতির ঘটনায় আটক ডাকাত দলের ওই মহিলা ডাকাত সদস্য হলো উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের নোয়াগ্ৰামের মিজানুর শিকদারের স্ত্রী আসমা বেগম।
গত ২৫ জানুয়ারী শনিবার রাত ১২ টা থেকে রাত ১,৩০ মিনিটের মধ্যে ঘাঘা গ্ৰামের বাবলু শেখের বাড়িতে ৬/৭ জনের একদল ডাকাত অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাবলু শেখের স্ত্রী শেফালী বেগমের কাছ থেকে সাড়ে ৪ ভরি ওজনের স্বর্ণ ও ৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়।
এবং গত ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ২ টার দিকে দিঘলিয়া ইউনিয়নের নোয়াগ্ৰামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হাসান বিশ্বাসের বাড়িতে ডাকাতি হয়। ডাকাত দল ঐ বাড়ির একটি বিল্ডিং ঘরের রান্নাঘরের লোহার গ্রিল কেটে রান্না ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে ধারালো ছুরি গ্যাসের চুলায় পুড়িয়ে প্লাস্টিকের দরজা কেটে মুল ঘরের আর একটি দরজা কেটে বেডরুমে প্রবেশ করে হাসান বিশ্বাসের মেয়ে ও মেয়ের স্বামীর গলায় চুরি ধরে তাকে জিম্মি করে গলার চেইন ও কানের দুল মিলে ২ ভরি স্বর্ণ ও একটি আইফোন একটি টাস ফোন এবং নগদ ১ লক্ষ টাকা নিয়ে নেয়!
পূণরায় মেয়ে ও মেয়ের স্বামী কে জিম্মি করে মেয়ের মায়ের ঘরে নিয়ে গিয়ে দরজা খোলাই এবং মেয়ের মা জোসনা বেগমের গলায় ছুরি ধরে কানের দুল ও গলার চেইন নিয়ে নেয়। এদিকে মেয়ে সুযোগ বুঝে দৌড়ে ঘরের বাহিরে গিয়ে ডাকাত বলে চিৎকার করলে ডাকাত দল দৌড়ে পালিয়ে যায়।
সরেযমিনে ওই গ্রামে গিয়ে খোজ নিয়ে জানা গেছে ডাকাত দলের সদস্য ওই মহিলা ডাকাত ওই দুই বাড়িতে তার দলবল নিয়ে ডাকাতি সংঘঠিত করেছে। ডাকাত দলের সদস্য ওই মহিলা বেশ কিছুদিন আগে নোয়াগ্রামে সংঘঠিত একটি হত্যা মামলায় তিন মাস জেল খেটে জামিনে রয়েছেন।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আশিকুর রহমান বলেন, বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী) রাত নয়টার দিকে নোয়াগ্রামের স্থানীয় জনগণ ডাকাতদলের এক মহিলা সদস্যকে ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে, তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।