সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চুরি ডাকাতি চাদাবাজি সন্ত্রাসী প্রতিবাদ করায় অসহায় চন্দ্র লাল দাশের ছেলে তপন দাশ লিটনের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারী) ভুক্তভোগী ওই অসহায় এর ওপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ০৪ ফেব্রুয়ারী চুরির অভিযোগে দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের জাহানপুর গ্রামের সাবু মিয়ার ছেলে গোলাপ মিয়া, এবং তার ভাইকে ধরে ফেলেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে ০৬ ফেব্রুয়ারী বিচার দেয়া হয় তাদের বাবা মায়ের কাছে। বিচার দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই লোকের বাড়িতে হামলার জন্য যান তারা। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তা জানতে পেরে তা সমাধানের জন্য শালিসের প্রস্তাব দেন। বিচারের জন্য জাহানপুর গ্রামের অসহায় তপন দাশ লিটনের মা, নির্মলা রানী দাশকে অনুরোধ করেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন রাজানগর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল স্থানীয় বাজার দিয়ে যাওয়ার সময় অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর ওপর হামলা করে জখম করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নাম ধারী ডাকাত সন্ত্রাস চাদাবাজি গোলাপ বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় রাজানগর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের দালাল, চিহ্নিত ডাকাত গোলাপের বাহিনী অভিযুক্ত চোর গোলাপ ও তার ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে হামলায় অংশ নেয়। এ সময় চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করতে গেলে এলাকার সাধারণ মানুষের ওপর ও হামলা করে সন্ত্রাস গোলাপ বাহিনী।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এলাকার কোন ঘরে শান্তিতে থাকা যায় না। তাদের ইভটিজিং, চোরি ডাকাতি চাদাবাজি সন্ত্রাসীর কারণে মেয়েরা স্কুল কলেজে যেতে পারে না। তাদের কারণে স্থানীয়দের টিউবয়েল, গাছের নারিকেল কিছুই থাকে না। সব চুরি করে নিয়ে যায়। এসবের প্রতিবাদ করায় হামলা করেছে চেয়ারম্যান জুয়েল ও অসহায় তপন দাশ লিটনের বাড়িতে ও। তার এই জুলুম অত্যাচার এর ভয়ে তপন দাশ লিটন এখন পর্যন্ত দেশ ছাড়া। এলাকাবাসী বলেন আমরা তাদের বিচার চাই।এটা জুলুম ছাড়া কিছু নয়।
চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও অসহায় তপন দাশ লিটনের মা, নির্মলা রানী দাস
বলেন, চুরির প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যানকে হামলা করেছে। আমার ছেলে প্রবাসে থাকে সে দেশে আসলেই হামলার শিকার হবে। আমার ছেলেকে সে ফোনে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমি একজন অসহায় মানুষ পরিবারে আমার স্বামী নেই। আমি চেয়ারম্যান এর ওপর হামলা ও আমার ছেলে সোস্যাল মিডিয়া প্রতিবাদ করায় হুমকি মারধর বাড়িতে হামলা এইগুলোওর বিচার চাই।
অত্র ইউনিয়নের মেম্বার সখী চরণ দাস বলেন, এলাকার ছেলেদের মাদকাসক্ত করছেন এই আওয়ামী লীগের দুশর ডাকাত গোলাপ মিয়া । তারা মাদক ব্যবসা করে। চুরি ডাকাতি করে। এলাকার কেউ নতুন বাড়ি কিনলে বা জায়গা কিনলে চাঁদাবাজি করে৷ তাদের জন্য এলাকার মানুষ অশান্তিতে আছে। আজ অপরাধের প্রতিবাদ করায় তারা হামলা করে চেয়ারম্যান জুয়েলকেজখম করেছে।
প্রবাসী অসহায় তপন দাশ লিটনের মা,নির্মলা রানী দাশ
বলেন, আমার ছেলে প্রবাসী৷ দীর্ঘ বছর আমরা আওয়ামী লীগের নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছি। অথচ ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর থেকে তারা কোন উপায় পাচ্ছিল না। কদিন পালিয়ে থাকার পর তারা এলাকায় আবার আসে। তারা আবার চুরি, ডাকাতি, মাদক বিক্রি শুরু করে। ০৯ ফেব্রুয়ারি আমার ছেলের ওপর হামলার হুমকি দেয় ।
আমার ছেলেকে না পেয়ে আমার বাড়িতে এসে ডাকাত গোলাপ বাহিনী এসে হামলা করে। আমার ছোট্ট এক মেয়ে ঘরের নাতি এখনও হাসপাতালে। বাঁচা মরার সন্ধিক্ষণে। আবার তারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করতেছে আমার ছেলে দেশে কোনভাবেই নিরাপদ নেই। কয়েকদিন পর পর ফোনে আমার ছেলেকে হুমকি দেয় মেরে ফেলার চিন্তা ধারা করেছে এইগুলা বলে ডাকাত গোলাপ বাহিনীর সদস্যরা। এবং আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে।