মোঃ আব্দুর রহিম শরণখোলা (প্রতিনিধি):
তিন মাস বয়সী মিলির জন্ম মোড়েলগঞ্জ নানা বাড়িতে। জন্মের পরে এই প্রথম বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলো সে। সঙ্গে ছিলো মা,বাবা, মামা,মামী।মামার ইজি বাইকে করে বাবার বাড়ি যাওয়ার পথিমধ্যেই ঘটে আকস্মিক সড়ক দুর্ঘটনা। বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা গাড়ির নিচ পড়ে ধুবড়েমুচড়ে যায় ইজিবাইকটি। ঘটনাস্থলেই মারা যান ছোট্ট শিশু মিলির জনমদুখিনী মা ও মামা। গুরুতর আহত হন মিলির বাবা ও মামী।তবে মাথায় সামান্য আঘাত পেলেও অক্ষত রয়েছে নবজাতক শিশু মিলি।ধুবড়ে মুচড়ে যাওয়া ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে যখন একে একে মরদেহ ও আহতদের বের করা হচ্ছিল তখন নবজাতক শিশু মিলিকে কোলে তুলে নেওয়ার মতো আপনজন কেউ ছিলোনা। এমন সময় দুর্ঘটনায় আটকে থাকা অপর একটি বাস থেকে এমন দৃশ্য দেখে দ্রুত নেমে আসেন এক নারী। এসেই উদ্ধারকারীদের থেকে কোলে তুলে নেন ছোট্ট শিশু মিলিকে। মায়ের মমতায় বুকে আগলে রাখেন মিলিকে।মাতৃরূপী এই মমতাময়ীর নাম শাহনাজ পারভীন ননী।তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। তার এই ছুটে আসা এবং মায়ের মমতায় ছোট্ট শিশু মিলিকে বুকে আগলে রাখার ছবি ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।