রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন

চিতলমারীতে মহাড়ম্বরে ২০০ স্থানে উদযাপিত হবে সরস্বতী পুজো

চিতলমারী প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

চিতলমারী প্রতিনিধি

হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মতে, বিদ্যা ও জ্ঞান এবং সঙ্গীতের দেবী সরস্বতী। দেবী শ্বেতপদ্মে উপবেশিত, তাঁর এক হাতে পুস্তক, অন্য হাতে বীণা। হাতে বীণা থাকার কারণে দেবীকে বীণাপাণি বলা হয়। বসন্ত পঞ্চমীতে অভ্র, আবির, আমের মুকুল, যবের শীষ এবং দোয়াত-কলম সহযোগে দেবী সরস্বতীর পুজো করা হয়। তাই এ বছর বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় দেবী সরস্বতী’র আরাধনার জন্য বিভিন্ন মন্ডপ, সংঘ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করা হয়েছে। এ উপজেলায় এ বছর মহাড়ম্বরে প্রায় ২০০ স্থানে বা প্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পুজো উদযাপিত হবে।
শাস্ত্রমতে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে পালিত হয় সরস্বতী পুজো। বসন্ত পঞ্চমীর শুভ তিথিতে দেবীর আরাধনা করা হয়। তাই এ বছর পঞ্চমী তিথি শুরু হবে ২ ফেব্রæয়ারি (১৯ মাঘ) রবিবার। এদিন সকাল ৯ টা ১৬ মিনিটে পুজো শুরু হবে। পঞ্চমী তিথি শেষ হবে ৩ ফেব্রæয়ারি সোমবার সকাল ৬ টা ৫৩ মিনিটে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা, ১১১ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৬টি কিন্ডারগার্টেন, ৩২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪ টি কলেজ রয়েছে। আর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই সরস্বতী পুজো উদযাপিত হবে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সংঘ ও মন্দিরের আয়োজনে জাকজমকপূর্ণ ভাবে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।
সরস্বতী পুজো উপলক্ষে শনিবার সকাল থেকে চিতলমারী উপজেলা সদর বাজারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সরস্বতী’র মুর্তি (প্রতিমা) আনা হয় বিক্রির জন্য। প্রকার ভেদে প্রতিটি মুর্তি ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হয়েছে। মুর্তির সাথে বিক্রি করা হয় পুজোর নানা রকম উপকরণ। সকাল থেকে দোকান গুলোতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপচে পড়া ভিড় লেগেছিল। পুজোকে ঘিরে বিভিন্ন মন্ডপকে আলোকসজ্জ্বায় সজ্জিত করা হয়েছে। আয়োজন করা হয়েছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
সুরশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরাধ্য হুই, সম্পূর্ণা, সেজুতি মন্ডল ও পরিধি কর জানায়, বছরের এ দিনটির জন্য তারা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে। দিনটি ঘিরে তাদের নানা আনন্দ উৎসব বিরাজ করে।
সুরশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কল্যানী রানী বাড়ই ও দড়িউমাজুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জনা হাজরা জানান, পুজোকে ঘিরে সকল কেনাকাটা শেষ। এখন প্রতিমা স্থাপন ও অন্যান্য কাজের আয়োজন চলছে। রাত পোহালেই পুজো।
চিতলমারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতানন্দ দাস জানান, সরস্বতী পুজো মূলত শিক্ষার্থী কেন্দ্রীক। উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুজো অনুষ্ঠিত হবে।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপস পাল বলেন, ‘হিন্দুধর্ম মতে, এটা বিদ্যাদেবীর পুজো। সনাতন শিক্ষার্থীরা দেবীর আরাধনা করে থাকেন। এ বছর এ উপজেলার প্রায় ২০০ প্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পুজো উদযাপিত হবে। পুজো শান্তিপূর্ণ ভাবে উদযাপনের জন্য আমরা সার্বিক ভাবে খোঁজ-খবর রাখছি।’

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ