বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৫ অপরাহ্ন

ভাঙ্গা পুলে শিশু শিক্ষার্থী, মুসল্লি ও পথচারীদের পারাপার

চিতলমারী প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১৩২ বার পড়া হয়েছে

চিতলমারী প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার ব্রহ্মগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের লোহার পুলটি কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। শুধু শিশু শিক্ষার্থী নয়, ওপারে অবস্থিত মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে মুসল্লিদেরও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। এলাকাসিরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন ওই পুল দিয়ে ৬ গ্রামের কয়েকশ’ মানুষ যাতায়াত করেন। পুলটি দীর্ঘদিন ধরে কোন মেরামত বা সংস্কার না করায় এমন রুগ্ন দশা হয়েছে। পুলের রড সিমেন্টের ঢালাই পাটাতন ভেঙ্গে মরা চিত্রা নদীতে পড়ে গেছে। ফলে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় থাকেন।
সুরশাইল গ্রামের শিক্ষার্থী অভিভাবক আসমা বেগম, মিনারা বেগম, শারমিন আক্তার সুমি ও কুরমনি গ্রামের কাবেরী বিশ্বাস জানান, তাদের কোমলমতি শিশুরা ব্রহ্মগাতী সারকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে। ধারে কাছে স্কুলে যাওয়ার পারাপারের জন্য একমাত্র ওই পুলটিই ভরসা। তাও দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গা। তাই তারা ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ভোগেন।
সুরশাইল গ্রামের গাউস গাজী, মইয়ার ফরাজী ও আমিনুল গাজীসহ অনেকে জানান, ব্রহ্মগাতী মসজিদে সুরশাইল ও কুরমনিসহ কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ গ্রামের মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন। সুরশাইল ও কুরমনি গ্রামের মুসল্লিদের পাঁচ ওয়াক্ত ওই ভাঙ্গা পুল দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। এ ছাড়াও ওই পুল দিয়ে আশপাশের ৬ গ্রামের কয়েকশ’ মানুষ যাতায়াত করেন।
ব্রহ্মগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামলেন্দু গোলদার জানান, এ ব্যাপারে তিনি কর্তৃপক্ষের সাথে কোন কথা বলেননি।
তবে চিতলমারী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলটি দূর্ঘটনা প্রবণ হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ