সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন

দিরাইয়ে কে? এই ডাকাত সর্দার গোলাপ!

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের জাহানপুর গ্রামের সাবু মিয়া’র ছেলে চোর ডাকাতের সর্দার মাদক কারবারি গোলাপের নির্যাতনে অতিষ্ট ইউনিয়নের মানুষজন। গোলাপ মিয়া দিরাই উপজেলার সক্রিয় যুবলীগ নেতা। পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের ডক্টর জয়া সেন ও গুপ্তা ও কালো টাকার মালিক দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ীলীগের সাধারন সম্পাদক প্রদ্বীপ রায়ের আশীর্বাদ পুষ্ট থাকায় মুখ খুলতে পারেনি এলাকার মানুষজন। ডাকাত সর্দার গোলাপ পুলিশের খাতায় ও একজন সুপরিচিত অপরধী। তাহার বিরুদ্ধে স্থানীয় থানা ছাড়াও বেশ এলাকায় চুরি -ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। গোলাপ মিয়া’ জীবনের শুরু থেকেই চোরি ডাকাতির কাজে জড়িয়ে পরেন। অনুসন্ধানে জানা,যায় গোলাপ মিয়া,র ইশরায় এবং তার সক্রিয় ভূমিকায় চলে দিরাই থানা শহরের বিভিন্ন পল্লী অঞ্চলে ডাকাতি। তিনি ডাকাতির পাশা-পাশি একজন উচ্চমানের মাদক কারবারি। তার প্রচেষ্টায় রয়েছে গোলাপ বাহীনি নামক একটি ডাকাত সদস্য বোর্ড। এই বোর্ডের লোকের প্রতিনিয়ত সাধারন মানুষদের জিম্মি করে চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছেন। নিজ গ্রাম জাহানপুরে তার আপন বোন মাজেদা বেগমের রয়েছে মাদকের দোকান। প্রতিনিয়ত বিক্রি করছেন মদ গাজা সহ মাদকদ্রব্য। গোলাপ ও তার পরিবারের ভাই ভাতিজা ও ভাগ্নের নির্যাতনে এলাকাবাসী জিম্মি। পান থেকে চোন খসলেই শুরু হয় গোলাপের নির্যাতন। শংকিত আছেন হিন্দু ও মুসলিম পরিবারের লোকজন। জাহানপুর গ্রামে মুসলমানদের চেয়ে সংখ্যালঘু পরিবার থাকায় প্রতিনিয়ত চলে তার হিন্দুদের উপর নির্যাতন। তার নির্যাতন সইতে না পেরে গত বছর সংখ্যালঘু পরিবারে জাহানপুর গ্রামের চন্দ্রলাল দাসের ছেলে তপন দাশ লিটন স্থানীয় দিরাই থানায় গোলাপকে অভিযুক্ত করে একটি লিখত অভিযোগ দায়ের করলে ঘটে হিতে বিপরিত। তৎকালীন ফ্যাসিবাদ সরকারে দূসর প্রদ্বীপ রায়ের সুপারিশে ছাড়পান গোলাপ। পরে গোলাপের ভাই ভাতিজা নিরহ তপন দাশ লিটনের উপর শারিরিক নির্যাতন করেন। গোলাপের আওয়ামীলীগ যুবলীগের পদের বিশেষণ থাকায় সে অনেক কিছু থেকে ছাড় পেয়ে যেতেন। বর্তমান দিরাই থানায় তার ভাইয়ের নামে গরু চোরির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। চোর ডাকাত সর্দার গোলাপ এখন পুলিশের ধরা চোয়ার বাহিরে। এনিয়ে সচেতন মানুষ মধ্যে হতাশায় ভুগছেন। দিরাই তথা রাজানগর এলাকায় যত ধরনের মন্দ কাজই হোক না কেন প্রতিটি কাজের মধ্যে থাকে গোলাপ। এলাকাবাসী আরো জানান, গোলাপ শুধু চোর ডাকাত নন, একজন খুনী প্রকৃতির লোক ও বটে। তার বিরুদ্ধাচার ও স্বার্থের কারণে তিনি যে কাউকে মারতে দ্বিধাবোধ করেনি।জাহানপুর গ্রামের সকল চোর ও মাদক বিক্রিতার গড ফাদার ও তিনি। জাহানপুর গ্রামের সংখ্যালঘু পরিবার সহ সরকারি খাস, মালিকানা জায়গা রয়েছে গোলাপের দখলে। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম বলেন, গোলাপ একজন নামডাকি ডাকাত,। পূর্বে ও রয়েছে তার অনেক ডাকাতির কান্ড। স্থানীয় দিরাই থানায় আমারা তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ করলে সে আওয়ামীলীগের নিকটে থাকায় প্রদ্বীপ রায়ের ছত্র ছায়ায় পার পেয়ে যেতো। তার সমস্ত পরিবার মাদক, ডাকাতি ও বিভিন্ন খারাপ কাজের সাথে জড়িত। উপজেলা প্রশাসনের ভূমিকা থাকলে তাকে পতিহত করা যাবে । এব্যাপারে দিরাই থানা’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ