শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০২:১৫ পূর্বাহ্ন

তেতৈয়া আবুছাবের (রঃ) আলীম মাদ্রাসা শতবর্ষ পুরনো অবহেলিত একটি রাস্তা,পাকা করার দাবি এলাকাবাসীর।

মোঃ নুরুন্নবী শহর প্রতিনিধি।
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৫১ বার পড়া হয়েছে

মোঃ নুরুন্নবী শহর প্রতিনিধি।

খুরুশকুল তেতৈয়া আবুছাবের( রঃ) আলীম মাদ্রাসা যাওয়ার শতবর্ষ পুরনো রাস্তা এটি।এর এক প্রান্ত খরুশকুল কক্সবাজার তেতৈয়া-আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে ডেইল পাড়া যাওয়ার রাস্তার সাথে মিলেছে।দৈর্ঘ্যে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার পুরোটাই কাচা।দীর্ঘদিন কোনো প্রকার সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটি নিচু ও কয়েকটি স্থানে খানাখন্দ হয়ে সমতল হয়ে গেছে।কয়েকটি স্থান পানির স্রোতে ভেঙে গেছে।
তবে বর্তমানে কাজ কিছুটা চলমান দেখা গেলেও এখন আর চলমান নেই।

স্থানীয়দের মতামত ,শুকনো মৌসুমে রাস্তাটি দিয়ে দৈনিক কয়েক হাজার মানুষ এই রাস্তা এই পথ দিয়ে সহজে ভাংগাদেউলা ওঠেন।। এছাড়াও এই রাস্তার সংলগ্ন বাড়িঘরে বসবাসকারীর সংখ্যাও প্রায় দুই শতাধিক।বর্ষা মৌসুমে যাদেরকে এক প্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে হয়।

কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লেও কোলে করে অতি কস্টে মূল রাস্তায় নিয়ে তারপরে গাড়িতে নিতে হয়,অর্থাৎ গর্ভবতী নারীদের দূর্ভোগের কোনো অন্ত নেই এই এলাকার।এক দিকে এই রাস্তা দিয়ে (৫০০) ছাত্র ছাত্রীদের চলা ফেরা কাচা রাস্তার হাটু কাদা থেকে মুক্তি নেই তাদের।

এছাড়াও রাস্তাটির দুপাশে বিশাল আকার ফসলের মাঠ হওয়ায় কৃষি পন্য বহনেও এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিলো,রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় অতিরিক্ত শ্রমিক লাগিয়ে অতিরিক্ত খরচ করে তা বাড়ি পর্যন্ত নিতে হয়।যারফলে ধান উৎপাদনেও খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষদেরও লোকশানের মুখে পরতে হচ্ছে।রাস্তাটা সংস্কার করা হলে গাড়িতে কৃষি পন্য বাড়িতে এবং শহরে নিতে পারলে তাদের অতিরিক্ত উতপাদন খরচ বেচে যাবে।এছাড়াও এটি পাকা করা হলে প্রতিদিন উপকৃত হবে অন্তত দুই হাজারের মানুষ এবং ছাত্র ছাত্রীদের।

ভুক্তভোগী এলাকার কৃষক এবং ছাত্র ছাত্রী্রা বলেন এই রাস্তাটি আমাদের দাদার বাবার সময় থেকে ব্যবহার করছি,প্রায় একশ বছর পুরনো রাস্তাটা সরকারি অর্থায়নে পাকা তো দূরে থাক,কোনো প্রকার সংস্কারই করা হয়নি।আমাদের নারী, শিশু ও ছাত্র ছাত্রী বৃদ্ধদের চিকিৎসা করাতে মারাত্মক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে, কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার সুযোগ নেই।আমরা চাই দ্রুত রাস্তাটি পাকা করা হোক।
মাদ্রাসা বক্তব্য বলেন ,রাস্তাটি কাদা হওয়ায় আমরা বর্ষাকালে কোথাও যেতে পারি না। আমাদের মাদ্রাসা ছাত্র ছাত্রীদের এলাকায় বাড়িতে বর্ষায় এই রাস্তা তলিয়ে গেলে হাটু সমান কাদাপানি পেরিয়ে হাসপাতালেও নিতে পারে না। পৌরসভার নাগরিক হয়েও আমরা চড়ম অবহেলিত।আমরা চাই দ্রুত রাস্তাটি পাকা করা হোক।
স্থানীয় সমাজকর্মী বলেন , কক্সবাজার নগরের বাসিন্দা হলেও এই অবহেলিত জনগোষ্ঠীর ভাগের উন্নয়ন কখোনোই হয়নি,সবাই কথা দিয়েছেন কিন্তু আর কেউ খবর রাখেন নি।কৃষিকে বাচাতে হলে এবং নারী ও শিশুদের সাস্থ্য সেবার কথা চিন্তা করে এই যে , ছাত্র ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে হলেও এই রাস্তার সংস্কার করা উচিৎ।সংস্কারের দাবিতে জেলা প্রশাসকের মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
বিগত আওয়ামী সরকার থাকাকালীন পর্যন্ত কিছুটা রাস্তার কাজ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ করা করলেও এই রাস্তাটি সরকারিভাবে সংস্কারের মুখ মেলেনি।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বে এই বিষয়টি , খুরুশকুল কক্সবাজার। তেতৈয়া থেকে শুরু ( ১-৯) নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের বক্তব্য নিতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সংযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ