উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁঃ
নওগাঁর পত্নীতলায় পত্নীতলা সীমান্ত পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এর স্থান নির্ধারণ ও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সকাল ১০ টায় নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন ১৪ বিজিবি সংলগ্ন এলাকায় পত্নীতলা সীমান্ত পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এর স্থান চিহ্নিত পূর্বক নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক ১৪ বিজিবিকে হস্তান্তর করা হয়। উক্ত জমি চিহ্নিত করণ এবং হস্তান্তরের সময় প্রধান অতিথি ছিলেন, লেঃ কর্নেল হামিদ উদ্দিন, বিজিবিএমএস, পিএসসি, অধিনায়ক, পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন (১৪ বিজিবি)। নওগাঁ জেলা প্রশাসকের পক্ষে, পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পপি খাতুন, পত্নীতলা উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা আজিজুল কবির উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে মেজর এস. এম. ইমরুল কায়েস, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম, নওগাঁ জেলার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ স্কুল -কলেজের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তীতে নওগাঁ জেলা প্রশাসক কর্তৃক পত্নীতলা সীমান্ত পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এর নির্ধারিত স্থান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজ্জামান, পিএসসি, রিজিয়ন কমান্ডার, রংপুর এবং কর্নেল মোঃ ইমরান ইবনে এ রউফ, সেক্টর কমান্ডার, রাজশাহী সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য মামুনুর রেজা স্বাধীন বলেন, পত্নীতলার মত প্রত্যন্ত এলাকায় পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ হচ্ছে এটা আমাদের জন্য অনেক আনন্দের এবং বড় পাওয়া। জেলা প্রশাসক ও বিজিবির ঔকান্তিক প্রচেষ্ঠায় আজকে যে স্বপ্নের সূচনা হচ্ছে তরুণ প্রজন্মের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পপি খাতুন বলেন, দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত একটি স্বপ্ন পূরণের সূচনা হল আজ। স্কুল প্রতিষ্ঠায় যাবতীয় কার্যবলী পদাধিকার বলে আমার উপর অর্পিত হয়েছিল। বিজিবি ও জেলা প্রশাসকের যৌথ প্রচেষ্ঠায় স্কুলের স্থান নির্ধারণ হয়। প্রাথমিকভাবে খাস জমি উদ্ধার করে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় বাকি কাজ শেষ এবং ভালো মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গুরুত্ব রাখবে পত্নীতলা সীমান্ত পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ।
প্রধান অতিথি কর্নেল হামিদ বলেন, আলোকিত সমাজ বিনির্মানে পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন ১৪ বিজিবির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় পত্নীতলা উপজেলা তথা নওগাঁ অধিবাসীদের জন্য আলো ছড়াবে সীমান্ত পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। একটা স্কুল প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন থেকে আমাদের এই উদ্যোগ গ্রহণ করা। স্কুল প্রতিষ্ঠায় যমুনা টিভির সিনিয়র সাংবাদিক শফিক ছোটনের সাহসীকতায় অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন। বিজিবি সদস্যদের স্বপ্ন এই পত্নীতলাতে তাদের ছেলে-মেয়ে পত্নীতলা অধিবাসীদের সাথে মিলেমিশে একসাথে আলোকিত সমাজ বিনির্মানে অংশ নেবে এবং সুনাগরিক হিসেবে এই প্রতিষ্ঠান থেকে জ্ঞান অর্জন করবে।