মো:রমিজ আলী,
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি(চট্টগ্রাম)।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড পৌরসভার দু’পাশে সড়কের প্রশস্ত ফুটপাত দখল করে রেখেছেন কিছু অসাধু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দখলদাররা।সীতাকুণ্ড প্রশাসনের নীরবতার কারণে এই সমস্যাটি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে ফুটপাত দিয়ে হাঁটতেও পারছে না বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ মানুষ। স্থায়ী দোকানদারদের নির্দিষ্ট জায়গার বাইরে ফুটপাত দখল করে গেঞ্জি, শার্ট, প্যান্ট, শীতের সোয়েটার, ফলের দোকান, চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন রকমারি পণ্য সাজিয়ে রেখেছে দোকানদাররা। এ কারণে ঘন্টার পর ঘণ্টা যানজটের সৃষ্টি হয় এবং প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়েছেন স্কু-কলেজ গামী ছাত্র-ছাত্রী এবং পথচারীরা।
মহাসড়ক ও রাস্তার পাশের ফুটপাত দিয়ে প্রতিদিন কোমলমতি শিশুরা স্কুলে যাতায়াত করেন। কিন্তু ফুটপাতগুলোতে দোকান তৈরি হওয়ার কারণে পথচারী ও শিক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়ছেন। আবার ফুটপাতে স্থান দখল হওয়ার কারণে মহাসড়ক ঘেঁষে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকছে সিএনজি, অটোরিকশা চার্জার ভ্যান ও ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যাত্রীবাহী গাড়ি। যার কারণে মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গেলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
অবৈধ ফুটপাতের দোকানদারদের কাছ থেকে প্রতিদিন চাঁদা নিচ্ছেন একটি গ্রুপ। পথচারী তারেক অভিযোগ করেন বলেন, পৌরসভার মহাসড়কের বাজারের রাস্তাটি খুবই অপ্রশস্ত। এ রাস্তা দিয়ে সিএনজি, অটোরিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করে। এরমধ্যে রাস্তার দু’পাশে ফুটপাত দখল করে রেখেছে দোকানদাররা, যার কারণে সব সময় যানজট লেগেই থাকে। স্কুল পড়ুয়া জাহেদ বলেন, ফুটপাত দখলে থাকায় রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে সমস্যা হয়। গত কিছুদিন আগে আমার বন্ধু এদিক দিয়ে চলাচল করার সময় একটি সিএনজি সাথে ধাক্কা লেগে আহত হয়। আবার পুরুষের চেয়ে মহিলাদের চলাচল করতে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। ফুটপাত দখল করা একাধিক দোকানি বলেন, ফুটপাতগুলোতে দোকান দেওয়ার কারণে আমাদের মাসে মাসে ভাড়া গুনতে হয় না। পৌরসভা থেকে কোন ট্রেড লাইসেন্সেরও প্রয়োজন হয় না। আমাদের একবার কোন রকম কোন একটা স্থানে বসতে পারলে হলো তারপরে যারা চাঁদা তোলে তাদেরকে প্রতিদিন দেওয়া ছাড়া আর কোন ঝামেলা নেই। তবে পৌরসভার একাধিক পথচারী বলেছেন, রাস্তার পাশের ফুটপাতগুলো তৈরি করা হয়েছে আমাদের মতো সাধারণ পথচারীদের জন্য। কিন্তু ফুটপাতের ওপর প্রতিনিয়িত দোকান-পাট বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে আমরা রাস্তাগুলো দিয়ে চলাফেরা করতে পারছি না। সাধারণ পথচারীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য প্রশাসনের প্রতি আমাদের অনুরোধ- দ্রুত সময়ের মধ্যে দখলকৃত স্থানগুলো ফাঁকা করে মানুষের চলাচলের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হোক।
এই বিষয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুজিবুর রহমান বলেন, এ সমস্যাটি তো দীর্ঘদিনের, তাছাড়া দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দদের নিয়ে খুব শিগগিরই থানায় একটি মিটিং ডাকবো। এরপর সবাইকে সাথে নিয়ে সড়কের পাশে অবৈধ ফুটপাত দোকান উচ্ছেদ করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি নিরসন করবো।