শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন

বাগেরহাটে বৃদ্ধা মাকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়ায় ভাই ও ভাবির বিরুদ্ধে অপর ভাইয়ের থানায় অভিযোগ

বাগেরহাট প্রতিনিধি :
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে অহংকারী ও অত্যারি স্ত্রী,র পরামর্শে গর্ভ ধারীনি ৯০ বছরের বৃদ্ধা মাকে বাড়ি তাড়িয়ে দিয়েছে মেঝ ছেলে ও পুত্রবধু। দেয়ায় ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩ জানুয়ারী উপজেলার বিষখালি গ্রামের মৃত সুনীল কুমার এর বাড়ীূতে। আর এ ঘটনয় বৃদ্ধার ছোট ছেলে জগবন্ধু দাস ভাবি ও ভাইয়ে বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
দায়ের কৃত অভিযোগের সূত্রে জানা যায় ,জগবন্ধু দাস (৪৫) একটি ঔষদ কোম্পনির বিক্রয় প্রতিরিধি,যশোরে স্বপরিবারে বসবাস করেন। বড় ভাই বিষ্ণুপদ দাস কানাডা প্রবাসী, স্বপরিবারে বিদেশে থাকেন। তারা দুই ভাই যৌথভাবে তাদের বৃদ্ধা মায়ের বসবাস করবার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে একটি পাকা ঘর নির্মাণ করেছিলেন। তাদের অনুপস্থিতিতে বৃদ্ধা মাতা কানন বালা দাস (৯০) কে দেখাশোনা করবার জন্য বোন সোমা রানী দাস থাকতেন।
মেঝ ভাই বাদল দাস ও তার অহংকারী স্ত্রী দীপা বালা দাস বসত ঘরটি দখল করতে গত ৩রা জানুয়ারি গভীর রাতে তাদের বোন ও মাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বাড়িতে প্রবেশ করে। জোরপূর্বক ঘরের সমস্ত মালামাল বের করে বৃদ্ধাকে ঘর থেকে বের করে দেন। ১০াদন অতিক্রম হলেও অত্যাচারি পুত্রবধু ও পাষান ছেলে বৃদ্ধ মাকে এখনো বাড়িতে ঢুকতে পারেনি।
জগবন্ধু আরো বলেন, তাদের মেজ ভাই ও ভাবি দীর্ঘদিন ধরে তাদের উপর নির্যাতন করে আসছে। তাদের উপর মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগে জানান। এমন কি প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে এখনো হুমকী থামকী অব্যাহত রেখেছেন। বিষয়টি নিয়ে মোড়েলগঞ্জ থানায় অভিযোগ করা হলেও মায়ের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত পরিবারের সদস্যরা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষে কামনা করেন।
এ দিকে বৃদ্ধ মায়ের সঙ্গে এমন আচরণ এলাকায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। স্থানীয়রা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
বিষ খালি গ্রামের একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, দীপা বালা দাসের পিতার বাড়ি দিনাজপুর জেলায়। বাদল দাস ঢাকায় চাকরিরত অবস্থায় তাদের বিয়ে হয়। বর্তমানে বাদল দাসের ৭ বছরের একটি পুত্র সন্তান আছে। বাদল দাসের আগেও দিপা স্বামী পরিবর্তন করেছে। সেই সংসারেও দীপার ২২ বছরের বিবাহিত একটি মেয়ে আছে।
তারা জানান, বিয়ের পর দীপা এলাকায় আসার কিছুদিন যেতে না যেতেই বিভিন্ন কারণে পরিবারের সদস্যদের উপর অত্যাচার শুরু করে। এমনকি পার্শ্ববর্তী মানুষের সঙ্গে তাদের বিরোধ শুরু হয়। সেই বিরোধের জের ধরে পরিবার ও আশপাশের লোকজনকে জড়িয়ে একাধিকবার দীপা বাদী হয়ে মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য জানান, দীপা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই মানুষের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। পরে কোন বিষয় নিয়ে বিরোধ হলেই সে হাতিয়ার হিসেবে সাধারণ মানুষকে মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শন করাসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। তার মিথ্যা মামলা ও হয়রানিতে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে বাগেরহাট পুলিশ সুপার মোঃ তৌহিদুল আরিফ জানান, বিষয়টা আমি জানতে পেরেছি। ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ