মোহাম্মদ :আতিক উল্লাহ চৌধরী রাউজান চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
শিক্ষা ও রাজনীতি দুটো ভিন্ন পথ হলেও উদ্দেশ্য মহৎ। শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রকে আলোর পথ দেখানো। আর রাজনীতির উদ্দেশ্য হলো সমাজ ও রাষ্ট্রপরিচালনার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের রাজনীতিকরণ কোনভাবেই কাম্য নয়। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে রাউজান সরকারি কলেজের অসংখ্য শিক্ষক ও কর্মচারীদের উপর অমানুষিক জুলুম ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন তৎকালীন সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এবং তার অনুসারীরা। ফজলে করিম চৌধুরীর শারীরিক নির্যাতন এবং হুমকির মুখে বিগত ১৫ বছর ধরে অনেক শিক্ষক বিভিন্ন মেয়াদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি এবং বেতন ভাতা উত্তোলন করতে পারেননি। ভুক্তভোগী শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ হলেন অর্থনৈতিক বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন, প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শওকত উদ্দিন ইবনে হোসেন, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক জহুরুল আলম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ আবুল মোস্তফা, আইসিটি বিভাগের প্রভাষক এস,এম, হাবিব উল্লাহ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক শামসুল আনোয়ার, মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ নুরুল আলম, নিম্নমান সহকারী মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম পাটোয়ারী।
গত ০৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর উপরোক্ত শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ ০৬ আগস্ট প্রতিষ্ঠানে এসে যোগদান করেন এবং কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিম নাওয়াজ চৌধুরী ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। সেলিম নাওয়াজ চৌধুরী বলেন ফ্যাসিস্ট সরকার এসব শিক্ষক কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার হরণ করেছেন। মানবিক কারণে তিনি এসব শিক্ষক কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ভাতা ছাড় এবং জাতীয়করণের অবশিষ্ট কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেন এবং শিক্ষকদের আশ্বস্ত করেন।